ভারতীয় সেনাবাহিনীর DGMO -সামরিক তৎপরতা বিষয়ক মহা নির্দেশক লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই বলেছেন, ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯’টি জঙ্গী ঘাঁটি ধংস করা হয়েছে। শতাধিক জঙ্গী, এতে মারা পড়েছে। আজ সন্ধ্যায় নতুন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে DGMO বলেন, নিহত জঙ্গীদের মধ্যে ইউসুফ আজাহার, আব্দুল মালিক রউফ ও মুদাসির আহমেদ রয়েছে, যারা কান্দাহার বিমান অপহরণ ও পুলওয়ামা বিষ্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, জঙ্গী ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি দিতে এবং জঙ্গী পরিকাঠামো ধংস করার স্পষ্ট সামরিক উদ্দেশ্য নিয়েই অপারেশন সিন্দুর-এর কথা ভাবা হয়েছিল। সীমান্ত পাড়ের জঙ্গী শিবির ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করে অত্যন্ত নির্দিষ্ট করে অপারেশন সিন্দুর চালানো হয়। পহেলগাঁও-এর নিরীহ ভ্রমণার্থীদের হত্যাকারীদের শাস্তি দিতেই এই অপারেশন বলে DGMO ষ্পষ্ট জানান।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই আরো বলেন, শুধুমাত্র জঙ্গীদের লক্ষ্য করেই এই অভিযান চালানো হয়। আনুসাঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি যাতে এড়ানো যায়, তার দিকেই নজর রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, জঙ্গী ঘাঁটিগুলির ওপর হামলার পরেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে বিভিন্ন অসামরিক এলাকা, ধর্মীয় স্থান এবং জনবসতিপূর্ণ গ্রামের ওপর লাগাতার হামলা চালায়। এতে বেশ কিছু প্রাণহানিও হয়। অপারেশন সিন্দুর-এ ভারতীয় বায়ুসেনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ভারতীয় নৌবাহিনীও এতে সহযোগিতা করে।
ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্স DGAO এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী সাংবাদিকদের জানান, খুব সতর্কতার সঙ্গে বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকে-র ওই কুখ্যাত জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ শিবির বাছাই করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে জঙ্গীদের নিকেশ করতে বায়ুসেনা প্রয়োজনীয় সবরকম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণের কাজ করে। আনুসঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি যাতে এরানো যায়, সেই কারণেই অত্যন্ত নির্দিষ্টভাবে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।