প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন ভারতের অর্থনীতি এখন অভূতপূর্ব উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। আর এই উন্নয়নের অনেকটাই নির্ভরশীল গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতির ওপর। তিনি আজ আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে পাইপবাহিত গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস করে বলেন, ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের এই প্রকল্প আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলা এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ সহায়ক হবে। প্রকল্পটি রূপায়িত হলে আড়াই লক্ষ্য বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এরফলে বাড়ি বাড়ি আর রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দরকার পড়বে না। পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরাসরি পৌঁছে যাবে গ্যাস। এর ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব ও ব্যয় সশ্রয়ী জ্বালানি পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে, পাশাপাশি বহু কর্মসংস্হানের সুযোগও সৃষ্টি হবে।
আমাদের প্রতিনিধি বিরাজ নারায়ণ রায় জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিকাশ, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্র তাই এরাজ্যের উন্নয়নেও বদ্ধপরিকর বলে শ্রী মোদী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের জন্যই কেন্দ্রের অনেক প্রকল্প এখানে কার্যকর হয় না। রাজ্যের মানুষ আয়ুষ্মান ভারত যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকেও বহু মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্হ্য, রাজনীতি, মেয়েদের ওপর অত্যাচার, সব ক্ষেত্রেই – এই রাজ্য সংকটের মুখে। কিন্তু শাসক দলের নেতারা নিজেদের ভুল না মেনে নিয়ে পাল্টা দোষারোপ করছেন, আদালতের দিকে আঙ্গুল তুলছেন। আদিবাসীদের কথাও এরাজ্যের শাসকদল ও সরকার ভাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন। তবে, বাংলাকে তার হৃতগৌরব ফিরিয়ে দিতে রাজ্যের মানুষকেই প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন বলে আমাদের জলপাইগুড়ির সংবাদদাতা চন্দনা চৌধুরী জানাচ্ছেন।
‘অপারেশন সিন্দুর-এর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলগাঁও-এর ঘটনায় মানুষের সম্মিলিত ক্রোধ, সরকারকে শক্তি জুগিয়েছে। যারা ওই ঘটনার পেছনে ছিল তাদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাগডোগরা থেকে সিকিমের একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। খারাপ আবহাওয়ার জন্য তিনি সশরীরে গ্যাংটকের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।
আলিপুরদুয়ার থেকে প্রধানমন্ত্রী বিহারে গেছেন।