কাজের প্রলোভন দেখিয়ে উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুরের বাসিন্দা এক তরুণীকে হাওড়ার ডোমজুড়ে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত শ্বেতা খানকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাকে আজ হাওড়া আদালতে তোলা হয়।
গত সন্ধ্যায় কলকাতার আলিপুর থেকে ধরা হয়েছিল শ্বেতাকে। এর আগে শ্বেতার ছেলে আরিয়ান খানকে গল্ফগ্রীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গতকাল হাওড়া আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। এফ আই আর-এ নাম থাকা আরিয়ানের বোন ১২ বছর বয়সী জোয়া খানকেও পুলিশ আটক করে। গতকাল তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে ওই তরুণী হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
এদিকে, এই ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে চিঠি পাঠিয়ে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করেছে।
এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে কচুয়া মোড় এলাকায় একটি হোটেলে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে আছে দুই মহিলা ও এক দালাল। ধৃতদের আজ বারাসাত আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। হোটেলের দুটি ঘর পুলিশ শীল করে দিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সিসিটিভি, হার্ডডিক্স ও ৬ জনের মোবাইল ফোন।