আজ ঈদ উল আজহা। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় সারা দেশে ত্যাগের এই উত্সব উদযাপিত হচ্ছে। সকাল থেকেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা মসজিদ ও ঈদগা সহ ধর্মীয় স্থানে বিশেষ ঈদের নামাজে সামিল হয়েছেন। তারপর ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্যের নিদর্শন হিসাবে প্রিয় পোষ্যকে উত্সর্গ করারও রেওয়াজ রয়েছে এই উত্সবে যা বকরি ঈদ নামে পরিচিত। কথিত আছে হজরত ইব্রাহিম ঈশ্বরের নির্দেশ অনুসারে তাঁর একমাত্র সন্তানকে উত্সর্গ করতে উদ্যত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার স্মরণে ঈদুজ্জোহা পালিত হয়ে থাকে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ঈদ উজ জোহা উপলক্ষে দেশ ও বিদেশে বসবাসকারী সব ভারতীয় নাগরিক, বিশেষ করে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, এই উৎসব, আত্মত্যাগ, বিশ্বাস ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক, যা সমাজে ঐক্য, সংহতি, ভালবাসা ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা প্রচার করে। উন্নত সমাজ গঠনে তিনি আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার আদর্শ অনুসরণ করে সকলকে একজোট হয়ে কাজ করার ও আর্জি জানান।
লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও ঈদুজ্জোহা উপলক্ষে জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই উত্সব সকলের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধির বার্তা বহন করে নিয়ে আসবে বলেই তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজধানীতে ঈদের প্রধান জমায়েত হচ্ছে জামা মসজিদ, ফতেপুর মসজিদ ও শাহী ঈদগায়।
কলকাতাতেও প্রতিবারের মত এবারেও মূল জমায়েত হবে রেড রোডে বা ইন্দিরা গান্ধী সরণীতেই। সেই কারণে আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত রেড রোডে যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী কিছু রাস্তাতেও যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ময়দানের দিক থেকে আসা ও যাওয়ার গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য রুটে।
এছাড়া পার্ক সার্কাস, মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচ, মহেশতলা, টালিগঞ্জ, চিৎপুর, শ্যামবাজার, বেলগাছিয়া, বউবাজার, শিয়ালদহ এলাকাতেও ভোর ৪টা থেকে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। চলবে বেলা ১২ টা র্যন্ত। গার্ডেনরিচ ও বন্দর সংলগ্ন এলাকাতেও কিছু সময়ে পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রিত থাকবে। প্রয়োজনে অন্য কয়েকটি রাস্তাযতেও রুট পরিবর্তন বা যানবাহন সাময়িক বন্ধ রাখা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন জেলাতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদুজ্জোহা পালিত হচ্ছে।
এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে উত্তর ২৪ পরগণার পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি ১৪ ই জুন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। ১৫ তারিখ থেকে পরিষেবা ফের চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। টানা ১০ দিন বন্ধ এই বাণিজ্য বন্ধ থাকলে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। তবে বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার চালু রয়েছে।